মিজানুর রহমানঃ সকল নিয়ম কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সামনে অনায়াসে চলছে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা, শুধু বাইপাইল নয়, নবীনগর, জামগড়া, শ্রীপুর, জিরানী প্রধান সড়কগুলোতে বাধাহীনভাবে চলছে অটোরিকশা, নেই লেনের বালাই, গতিতেও বডড বেপরোয়া আর এতে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।
জনবহুল ও যানজটের এই শিল্পাঞ্চলে বৈধ যানবাহন সামলাতে হিমশিম অবস্থা ট্রাফিক পুলিশের। সেখানে অদক্ষ চালকের এলোমেলো চলাচলে হাইওয়ে সড়ক গুলোতে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা এবং ট্রাফিক জ্যাম। এর মধ্যে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য অতিষ্ঠ ট্রাফিক সদস্য ও সাধারণ পথচারী। এই অটোরিকশার ড্রাইভাররা ডান- বাম কিছুই মানেনা। মহাসড়কের বড় গাড়িগুলোর সাথে প্রতিনিয়ত পাল্লা দিয়ে চলার চেষ্টা করে।
বিগত সরকারের আমলে অটোরিকশা চলা-চলে নিষেধাজ্ঞা দিলেও চাপের মুখে আদেশ প্রত্যাহার করে নেয় শেখ হাসিনা সরকার। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তী সরকার মহাসড়ক গুলোতে অটো চলা-চলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আদালত। অটো চালকদের তীব্র আন্দোলনে তাও কর্যকর হয়নি ! এরপর আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে অটো চালকরা, লাইসেন্স ও নিবন্ধনহীন এসব ব্যাটারীচালিত অটোরিকশার অনেক চালক অনভিজ্ঞ ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক। একসময় আশুলিয়ার অলি-গলিতে নিয়মিত চলা-ফেরা করত এসব অটোরিকশা, বর্তমানে আশুলিয়ার প্রায় সব প্রধান সড়কে চলা-ফেরা করছে বেপরোয়া ভাবে। এতে যেমন বাড়ছে তীব্র যানজট একই সাথে বাড়ছে দুর্ঘনা ও ঝুঁকি। সাধারণ পথচারীদের অভিযোগ এসব অটোরিকশার ব্রেক ও চালানীতে ড্রাইবারের কন্ট্রোল না থাকাতে রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া মানুষকে দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে এতে কেউ কেউ নিহত ও আহত হচ্ছে। অতিদ্রুত এর লাগাম টানা না গেলে আগামীতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়বে। একইসাথে বাড়বে যানজটও। অভিযোগ আছে, বাইপাইল, গাজীরচট, পলাশবাড়ী, নবীনগর, শ্রীপুর, জিরানী, জামগড়া এসব এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে রিকশা গ্যারেজ, যেখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ চুরি করে ব্যবহার করছে এসব অবৈধ অটোরিকশা গ্যারেজ মালিক। লক্ষ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ অপচয় হওয়াতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে কিছুদিনপর গরমের মৌসুম আসলে বিদ্যুৎ অপচয় করার ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও তীব্র হবে।